ক্রিপ্টোকারেন্সি কি? এটা কী আদ্য হ্যাক করা সম্ভব? প্রুফ অফ স্টেইক কী? প্রুফ অফ ওয়ার্ক বলতে কী বোঝায়?
১৯৮৩ সালে আমেরিকান ক্রিপ্টোগ্রাফার ডেভিড চৌম ক্রিপ্টোগ্রাফিক পদ্ধতিতে ডিজিটাল উপায়ে টাকা আদান প্রদানের বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেন। যার নাম দেন ই-ক্যাশ। ১৯৯৫ সালে, তিনি ডিজিক্যাশের মাধ্যমে এটি একটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক ইলেকট্রনিক পেমেন্টের প্রাথমিক ফর্ম বাস্তবায়নের দিকে এগুতে থাকেন। পরবর্তীতে সফটওয়ারে নির্দিষ্ট এনক্রিপটেড কীগুলি ইনপুটের পর প্রাপক প্রেরণকারীর অর্থ পান। তবে এই অর্থ কোন রাষ্ট্রে পরিচালিত মুদ্রা (টাকা, ডলার, পাউন্ড, দিনার) এর মত নয়। সম্পূর্ণ অস্থিত্বহীন পয়েন্ট। তবে সাতশি নাকামোতো (কোন ব্যক্তি বা গ্রুপ) সফলভাবে কেন্দ্রীয় সত্তা বিহীন ডিজিটাল ক্যাশ পেমেন্ট চালু করেন। যা বিটকয়েন নামে পরিচিত।
ক্রিপ্টোকারেন্সি এক ধরণের সাংকেতিক মুদ্রা। যার কোন বাস্তব রূপ নেই। এর অস্তিত শুধু ইন্টারনেট জগতেই আছে। এটি ব্যবহার করে লেনদেন শুধু অনলাইনেই সম্ভব। যার পুরো কার্যক্রম ক্রিপ্টগ্রাফি নামক একটি সুরক্ষিত প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। ২০১৭ সাল থেকে এটি একটি উঠতি মার্কেটি পরিণত হয়েছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ডিজাইন করা হয় প্রফ অফ ওয়ার্ক না হয়প্রুফ অফ স্টেকের উপরে।
প্রুফ অফ ওয়ার্ক এ যেগুলো কে ডিজাইন বা এই এলগোরিদম এ মেইক করা হয় সেগুলোকে মাইনিং করা হয়। মানে যে ট্রানজেকশন করা হয় সেগুলোর পিছনে কাজ করা হয়। বিটকয়েনের ব্লকচেইন এ ১০ মিনিট পরপর একটা ব্লক তৈরি হয়। ১০ মিনিটের ভিতরে পুরো ওয়ার্ল্ড এর যত লেনদেন হয় সব লেনদেনের ডাটা থাকে ওই ব্লকের ভিতরে। ব্লক মানে একটা বক্স। আর এই বক্সের ভিতরে ট্রানজেকশনের সব ডাটা ইনফরমেশন থাকে।আর এই ব্লকগুলা যায় মাইনাসদের কাছে , তারা এই ব্লকগুলাকে বা ট্রানজেকশন গুলোকে ভেরিফাই করে। মাইনারসদের মাঝে যে ব্লকগুলো আগে ভেরিফাই করবে সেই ওই ব্লকের রিওয়ার্ড পাবে বিটকয়েন। আর ওই ১০ মিনিটের ভিতরে সারা বিশ্বের লেনদেন এর কারণে যে ব্লকটি তৈরি হয়েছে তা তার একটা এড্রেস থাকে যাকে হ্যাশ বলা হয়। হ্যাশ ব্যাসিক্যালি একটা আলফা, নিউমেরিক ইউনিক সাইন বা সিগনেচার যেটা পুরো নেটওয়ার্কস এ অনলি একটা ই থাকে। দুইটা হ্যাশ কখনোই একই হয় না।যদি ব্লকের মাঝে কিছু পরিবর্তন করা হয় তবে হ্যাশের মধ্যেও কিছু একটা পরিবর্তন সিস্টেমিক্যালি চলে আসবে। এরপরে সেকন্ড আরেকটা ব্লক মেইক হবে,সেটারও আরেকটা হ্যাশ থাকবে । যেটা কিনা প্রথম ব্লকের সাথে সম্পর্কযুক্ত। যা সেকন্ড ব্লকে থাকে প্রিভিয়াস হিসেবে। প্রথম ব্লকের কিছু পরিবর্তন করা হলে সেকন্ড ব্লকেরও হ্যাশ পরিবর্তন হয়ে যাবে। তখন দ্বিতীয় ব্লকটি ইনভেলিড হয়ে যাবে। তাই প্রথম ব্লক পরিবর্তন করা অসম্ভব ব্যাপার। যদি আপনি কোনো একটা ব্লক বা ট্রানজেকশন এর পরিবর্তন করতে চাইলে তাহলে আপনাকে সবগুলো নেটওয়ার্কস এর সার্ভার এর আপ্পুভাল নিতে হবে। যা আসলে আমাদের বাস্তব জীবনে অসম্ভব।আর এজন্যেই আপনি ব্লকের কোনো পরিবর্তন করতে পারবেন না। আর এজন্যেই এই টেকনোলজি কে ব্লকচেইন কেউই হ্যাক করতে পারবে না। বিটকয়েনের কথা বললে, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এটার যতগুলো সার্ভার আছে সবগুলোর একই লেজার অলরেডি থাকে যেকোনো ব্লক তৈরি হলে সেটা এপ্রুভ হইলে এটার ফুল কপি ফুল রের্কড অল ট্রানজেকশন ডাটা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড সব মাইনাসদের কাছে চলে যাবে। যদি কেউ ওই ব্লকগুলো কে হ্যাক করতে চায় তাহলে তাকে পুরো পৃথিবীর সব বিটকয়েন নেটওয়ার্ক কে একসাথে হ্যাক করতে হবে যা আদ্য সম্ভব কিনা আমার জানা নেই। পাবলিক লেজার হওয়াতে এটা যে কেউ চেক করতে পারে।
Comments
Post a Comment