কম্পিউটার আর্কিটেকচার/সংগঠনঃ কম্পিউটার আর্কিটেকচার কম্পিউটার সিস্টেম একটি বিস্তৃত পদ্ধতি। যে-সব যন্ত্রপাতি দিয়ে কম্পিউটার তৈরি, তাকে হার্ডওয়্যার বলে। যেমন— আইসি, হার্ডডিস্ক, মাদারবোর্ড, স্ক্যানার ইত্যাদি। আধুনিক কম্পিউটার সিস্টেমের প্রধান সাংগঠনিক অংশগুলো হলো (i) গ্রহণমুখ বিভাগ(Input unit) (ii) স্মৃতি বিভাগ (Memory Unit) (iii) গাণিতিক যুক্তি অংশ (Arithmatic Logic Unit) (iv) নিয়ন্ত্রণ বিভাগ (Control Unit) (v) নির্গমন মুখ (Output Unit) কম্পিউটার আর্কিটেকচার/সংগঠনসমূহের ব্যাখ্যা : (1) গ্ৰহণমুখ (Input) : কম্পিউটারের সাহায্যে কোনো কাজ সম্পাদনের জন্য যে-সব যন্ত্রের সাহায্যে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া হয়, তাকে গ্রহণমুখ বলে। যেমন— কী-বোর্ড, মাউস, স্ক্যানার ইত্যাদি। সুতরাং গ্রহণমুখ নিম্নলিখিত ফাংশন সম্পাদন করে থাকে— (ক) এটা ইনস্ট্রাকশন এবং ডাটা গ্রহণ করে অথবা পড়ে। (খ) এ সমস্ত ইনস্ট্রাকশন এবং ডাটা কম্পিউটারের গ্রহণ উপযোগী গঠনে পরিবর্তন করে। (গ) এরপর এ পরিবর্তিত ইনস্ট্রাকশন এবং ডাটাকে পরবর্তী প্রসেসিং-এর জন্য কম্পিউটার সিস্টেমে সরবরাহ করে। (ii) স্মৃতি বিভাগ (Memory Unit) : মানুষের মতো কম্পিউটারেরও নিজস্ব স্মৃতি কোষ থাকে এবং তাকে সাহায্য করার জন্য সাহায্যকারী স্মৃতিকোষ আছে, যা কম্পিউটারকে বিভিন্ন কাজ সম্পাদনে সাহায্য করে থাকে। কম্পিউটারের এই স্মৃতিকোষ মানুষের তৈরি এবং এটা বিদ্যুতের সাহায্যে চলে। কম্পিউটারের এই স্মৃতিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যথা— (ক) মূল স্মৃতি (খ) সাহায্যকারী/সেকেন্ডারি বা বহিরাগত স্মৃতি (ক) মূল স্মৃতি ঃ কম্পিউটার সিস্টেম যে ডাটা ও ইনস্ট্রাকশনের উপর বর্তমানে কাজ করছে তা এখানে সাময়িকভাবে ধারণ করে রাখে। এই মেমরি অপেক্ষাকৃত দ্রুত এবং সরাসরি সি.পি.ইউ. দ্বারা এক্সেস করা হয়। এটা অপেক্ষাকৃত ছোট মেমরি। মূল স্মৃতিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় a, Read Only Memory(ROM) b. Random Access Memory (RAM) (a) Read Only Memory (ROM): বলে । যে স্মৃতিতে তথ্য শুধু পাঠ করা যায় কিন্তু কোনো নতুন তথ্য সংযোজন করা যায় না, তাকে Read Only Memory (ROM) ROM-এ তথ্য স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হয়। যখন বিদ্যুৎ চলে যায় অথবা কম্পিউটার বন্ধ করা হয় তখন যে-সব তথ্য ROM এর মধ্যে থাকে তা মুছে যায় না। ROM-এর একটি ধরন PROM। যে-সব ROM চিপে ব্যবহারকারী নিজেদের ইচ্ছামতো প্রোগ্রাম সংরক্ষণ করতে পারে, তাকে PROM চিপ বলে। PROM-এ একবার প্রোগ্রাম সংরক্ষণ করার পর সংরক্ষিত তথ্য আর পরিবর্তন করা যায় না। ROM-এর আরেকটি ধরন হচ্ছে EPROM-যা PROM-এর উপযুক্ত সমস্যা সমাধান করতে পারে। ফেলা যায় এবং চিপকে পুনরায় প্রোগ্রাম করে নতুন তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। (b) Random Access Memory (RAM) : যে স্মৃতিতে কোনো একটি তথ্য মুছে ফেলে ঐ জায়গায় নতুন তথ্য লেখা যায় এবং সেই তথ্য প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করা যায়, তাকে Random Access Memory বলে। তবে বিদ্যুৎ চলে গেলে বা কম্পিউটার অফ/বন্ধ করলে এর তথ্য মুছে যায়। প্রাইমারি স্টোরেজকে সাধারণত র্যাম বলে কারণ সরাসরি ডাটা এবং ইনস্ট্রাকশন সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধার করতে এই মেমরির যে-কোনো লোকেশন সিলেক্ট ও ব্যবহার করা সম্ভব। মেমরির প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা লোকেশন অন্য লোকেশনের মতোই এক্সেস করা সহজ এবং একই পরিমাণ সময়ের প্রয়োজন হয়। এটাকে রিড/রাইট বা ভোলাটাইল মেমরিও বলা হয় কারণ র্যাম চিপে তথ্য লেখাও যায় আবার এ থেকে তথ্য পড়াও যায় (খ) সাহায্যকারী বা বহিরাগত স্মৃতি ঃ কম্পিউটার সিস্টেম বর্তমানে কাজ করছে না এমন প্রোগ্রাম এবং ডাটা স্থায়ীভাবে ধারণ করতে এই স্মৃতি ব্যবহৃত হয় । এটা অপেক্ষাকৃত বড় স্মৃতি অংশ। এটা মেইন মেমরি থেকে কম গতিসম্পন্ন মেমরি। RAM বা মূল স্মৃতিতে কোনো তথ্য স্থায়ীভাবে থাকে না। কম্পিউটার বন্ধ করলে বা বিদ্যুৎ চলে গেলে RAM-এর সমস্ত তথ্য মুছে যায় । শুধুমাত্র ROM এ তথ্য স্থায়ীভাবে থাকে। সেজন্য মূল স্মৃতি বা RAM কে সাহায্য করার জন্য কতকগুলো স্মৃতি স্থায়ীভাবে তথ্য সংরক্ষণ করে থাকে, যাতে প্রয়োজন অনুসারে RAM সে-সব স্মৃতি থেকে তথ্য নিতে পারে। আর এই সব স্মৃতিকে সাহায্যকারী স্মৃতি বলে। যেমন— হার্ডডিস্ক, ফ্লোপিডিস্ক, চুম্বকীয় টেপ ইত্যাদি সাহায্যকারী স্মৃতি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। (ii) গাণিতিক যুক্তি অংশ (Arithmatic Logic Unit) : কম্পিউটার সিস্টেমের এএলইউ (ALU) হচ্ছে সেই স্থান যেখানে “প্রোসেসিং অপারেশনের সময় ইনস্ট্রাকশনের প্রকৃত এক্সিকিউশন সম্পন্ন হয়। গাণিতিক যে-কোনো বিষয় যেমন- গুণ, ভাগ, যোগ, বিয়োগ ইত্যাদি অংকের বিশ্লেষণ করা এবং সিদ্ধান্ত দেয়া গাণিতিক যুক্তি অংশের কাজ। (iv) নিয়ন্ত্রণ বিভাগ (Control Unit) : কম্পিউটারে বিভিন্ন অংশের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান এবং তথ্য প্রবাহের দায়িত্ব পরিচালনা করে যে বিভাগ, তাকে নিয়ন্ত্রণ বিভাগ বলে। এটি বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে কম্পিউটারকে সক্রিয় রাখে এবং বিভিন্ন কাজ সম্পাদনে সাহায্য করে। । নিয়ন্ত্রণ বিভাগ স্মৃতি থেকে একের পর এক নির্দেশ পড়ে এবং সে নির্দেশ অনুসারে গাণিতিক যুক্তি অংশ বা ইনপুট ব্যবস্থাকে নির্দেশ দেয় কাজ করার জন্য আবার আউটপুটের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করে। তা ছাড়া তথ্যের ঠিকানা জেনে সে তথ্যকে মূল স্মৃতির বিশেষ জায়গায় সংরক্ষণ করে। (v) নির্গমন মুখ (Output Unit) : কম্পিউটার কোনো একটি কাজ সম্পাদনের পর যে যন্ত্রের সাহায্যে ফলাফল ব্যবহারকারীর কাছে প্রদর্শন করে, তাকে নির্গমন মুখ বলে। দেখার জন্য ভিডিও পর্দা বা মনিটরের নাম উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও নির্গমন মুখের মধ্যে প্রিন্টার, পাঞ্চকার্ড, ম্যাগনেটিক টেপ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং আউটপুট ইউনিট নিম্নলিখিত ফাংশন সম্পাদন করে থাকে— (ক) কম্পিউটার দ্বারা তৈরিকৃত কোডেড ফর্মের ফলাফল এটা গ্রহণ করে। (খ) এই কোডেড ফর্মের ফলাফলকে মানুষের বুঝার উপযোগী ফর্মে পরিবর্তন করে। (গ) এই পরিবর্তিত রেজাল্ট আমাদেরকে প্রদর্শন করে।
Best SEO Company Primelis Are you looking for the best SEO company to help your business grow online? Look no further than Primelis – the leading provider of SEO services for businesses of all sizes. Why Choose Primelis? At Primelis, we understand that every business has unique needs and goals when it comes to their online presence. That's why we offer customized SEO solutions tailored to your specific needs. Our team of experts has years of experience working in the SEO industry, and we stay up-to-date with the latest trends and best practices to ensure that your website is optimized for success. We also offer a range of other digital marketing services to help your business succeed online, from PPC advertising to social media marketing and more. Our SEO Services Our SEO services are designed to help your website rank higher in search engine results pages, driving more traffic and leads to your business. Some of the SEO services we offer include: Keyword Research We'll help yo...
Comments
Post a Comment